কাগুজে শেয়ারমুক্ত দুই স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বোর্ড
লেনদেন, সূচক, বাজার মূলধনের নতুন রেকর্ডের পাশাপাশি দেশের শেয়ারবাজারে নতুন আরেকটি রেকর্ড হয়েছে গতকাল। গতকাল থেকে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বোর্ডে কোনো কাগুজে শেয়ার লেনদেন হয়নি। মূল বোর্ডে রয়েছে শুধু ইলেকট্রনিক শেয়ারধারী কম্পানিগুলো। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) সিদ্ধান্তের কারণে শেয়ারবাজারে অনন্য এ রেকর্ড হয়েছে।
এসইসি কাগুজে শেয়ারকে ইলেকট্রনিক শেয়ারে রূপান্তরের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়। ওই সময়ের মধ্যে ২৫টি কম্পানি কাগুজে শেয়ারকে ইলেকট্রনিক শেয়ারে রূপান্তরে ব্যর্থ হয়। এ ব্যর্থতার দায়ে ওই ২৫ কম্পানিকে তালিকাচ্যুত করতে ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় এসইসি। এসইসির নির্দেশে ডিএসই গতকাল থেকে ওই ২৫ কম্পানিকে তালিকাচ্যুত করে ওভার দ্য কাউন্টার বা ওটিসি বাজারে পাঠিয়ে দেয়। আর এ তালিকাচ্যুতির মাধ্যমে কাগুজে শেয়ারমুক্ত হয় দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বোর্ড।
বলা হয়ে থাকে, ১৯৯৬ সালে কাগুজে শেয়ারের কারণেই দেশের শেয়ারবাজারে মহাকেলেঙ্কারি ঘটানো সম্ভব হয়েছিল। সে কারণে ১৯৯৬ সালের পর কাগুজে শেয়ারের পরিবর্তে ইলেকট্রনিক শেয়ার লেনদেনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এজন্য গঠন করা হয় সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড বা সিডিবিএল। সিডিবিএল প্রতিষ্ঠার পর শুরু হয় ইলেকট্রনিক শেয়ারের যুগ।
কাগুজে শেয়ারকে স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বোর্ড থেকে সরিয়ে দেওয়ার ফলে বর্তমানে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ইলেকট্রনিক শেয়ারধারী কম্পানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২১টিতে।
0 comments:
Post a Comment