সিমেন্ট খাতের ৩টি কোম্পানির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে ডিএসই
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের ৭টি কোম্পানির মধ্যে ৩টির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। বেশিরভাগ সময় উত্পাদন বন্ধ থাকার পরও শেয়ারবাজারে অস্বাভাবিক দর বাড়ার প্রেক্ষাপটে জেড ক্যাটাগরির পদ্মা সিমেন্ট কোম্পানির শেয়ার লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি একই অভিযোগে আরামিট ও কনফিডেন্স সিমেন্ট কোম্পানির অস্বাভাবিক দর বাড়ার বিষয়টি তদন্ত করার ঘোষণা দিয়েছে ডিএসই।
জানা গেছে, নতুন কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য না থাকার পরও গত এক মাসে ১শ’ টাকা অভিহিত মূল্যের আরামিট সিমেন্টের দর ৫শ’ টাকা এবং কনফিডেন্স সিমেন্টের দর বেড়েছে ৯৫০ টাকা। যদিও বৃহস্পতিবার ডিএসইর নোটিশের জবাবে কনফিডেন্স ও আরামিট সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, সামপ্রতিক দরবৃদ্ধিতে কোম্পানির পক্ষ থেকে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।
এদিকে লোকসানি কোম্পানি পদ্মা সিমেন্টের শেয়ারের দর ছিল ১৯ টাকা। মূল্য সংবেদনশীল কোনো তথ্য না থাকার পরও এক মাসে এ কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে ১১.৫০ টাকা। অস্বাভাবিকভাবে দর বাড়ায় এর আগে ১৯ সেপ্টেম্বর ডিএসই পদ্মা সিমেন্টের শেয়ারের লেনদেন স্থগিত করেছিল। অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ডিএসইর নোটিশের জবাবে পদ্মা সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ জানায় যে, সামপ্রতিক দরবৃদ্ধিতে মূল্য সংবেদনশীল কোনো তথ্য নেই। তবে এরপরও শেয়ারের দরবৃদ্ধি ঠেকানো যায়নি। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০০৯ সালের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান হচ্ছে ১ দমমিক ৪৬ টাকা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদের লোকসান হচ্ছে ৮২ পয়সা। ২০০৩ সাল থেকে কোম্পানিটি ধারাবাহিকভাবে লোকসান দিয়ে আসছে। বর্তমানে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের পদ্মা সিমেন্টের বর্তমান লোকসান হচ্ছে ২৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
0 comments:
Post a Comment