ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কমছেই : চার মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
শেয়ারবাজারে লেনদেনের পরিমাণ কমছেই। গতকাল দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) চার মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন ১ হাজার ১৫৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর আগে ডিএসইতে গত ১০ এপ্রিল সর্বনিম্ন ৯৬৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছিল। মার্জিন লোন নিয়ে এসইসির কড়াকড়ি আরোপের ফলে মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকারেজ হাউসগুলোর সতর্ক অবস্থানের কারণে বাজারে লেনদেনের পরিমাণ কমছে বলে বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। কেউ কেউ অবশ্য ধারণা করছেন, মার্জিন লোন নিয়ে যাতে এসইসি বেশি কড়াকড়ি আরোপ করতে না পারে সে জন্য বাজারে তারল্যপ্রবাহে এক ধরনের কৃত্রিম ভাটা তৈরি করা হয়েছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইতে গড় লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা, যা এর আগের সপ্তাহে ছিল ১ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা। তবে গত সপ্তাহের শেষদিকে এসে বাজারে লেনদেনে বড় ধরনের ভাটা দেখা যায়। গত সপ্তাহের শেষদিন বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৪৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা, যা গত দেড় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। তবে গতকাল সপ্তাহের শুরুতে লেনদেন আরও কমে হয়েছে ১ হাজার ১৫৪ কোটি টাকা, যা আগের দিনের তুলনায় ৯৪ কোটি টাকা কম। তবে লেনদেন কমলেও বেড়েছে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক। আগের দিনের তুলনায় ডিএসই সাধারণ সূচক ১৭ পয়েন্ট বেড়ে ৬৬৭৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে ডিএসই-২০ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট বেড়ে ৩৮৮২ দশমিক ৫৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেনকৃত ২৪৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৫টির, কমেছে ১১২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬টি কোম্পানির শেয়ার।
লেনদেনের ভিত্তিতে (টাকায়) শীর্ষ ১০টি কোম্পানি হলো—বেক্সিমকো, বেক্সটেক্স, আফতাব অটোমোবাইলস, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, বিএসআরএম স্টিল, নাভানা সিএনজি, তিতাস গ্যাস, কেয়া ডিটারজেন্ট, প্রাইম ফাইন্যান্স ও স্কয়ার টেক্সটাইল।
দর বৃদ্ধিতে শীর্ষ ১০টি কোম্পানি হলো—দেশ গার্মেন্ট, মিরাক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ, রহিমা ফুড, লিগেসি ফুটওয়্যার, ঢাকা ইন্স্যুরেন্স, ফু-ওয়াং ফুড, কেয়া কসমেটিকস, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স, জেমিনি সি ফুড ও বেক্সিমকো সিনথেটিকস। দাম কমার শীর্ষে প্রধান ১০টি কোম্পানি হলো—ড্যাফোডিল কম্পিউটার, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, আলফা টোব্যাকো, ঢাকা ডায়িং, শ্যামপুর সুগার, রহিম টেক্সটাইল, ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স, বিডি ফাইন্যান্স, গোল্ডেন সন ও ন্যাশনাল টি কোং লিমিটেড।
সুত্রঃআমাদের সময়
0 comments:
Post a Comment